খুলে দেওয়া হলো তিস্তা বাঁধের সবকটি জলকপাট

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২ | ০২:৪৩ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২২ | ০২:৪৩
কয়কদিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারাজ কৃর্তপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সে.মি.) বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদী তীরবর্তী মানুষরা জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের গজলডোবা ব্যারেজে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় উজানের ঢল বেড়ে যায়। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। যদিও এখনও জেলার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়া পানি জমেছে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায়ও।
স্থানীয়রা জানান, শুকিয়ে যাওয়া মৃত প্রায় তিস্তা আবারও ফুলে ফেঁপে ওঠেছে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী জেলেদের মধ্যে কর্মব্যস্ততা দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবছর জুন মাসে একটি বন্যা দেখা দেয়। তাই তিস্তা পাড়ের মানুষের সর্তক থাকতে বলা হচ্ছে।