সিলেটে রায়হান হত্যা: বরখাস্ত এসআই হাসানের জামিন

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান আলীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গ্রেপ্তারের প্রায় দেড় বছর পর কারাগারে থাকা ৫ আসামির মধ্যে প্রথম জামিন পেলেন তিনি।

রোববার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকের্টের একটি বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। এদিন আদালতে এসআই হাসানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আব্দুল আলিম ভুইয়া জুয়েল।

রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত হাসান আলীকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামির মধ্যে এসআই হাসান আলী ও পলাতক থাকা কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে রায়হান হত্যায় অভিযুক্তদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা ও মামলার আলামত নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরে ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা করলে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে নয় জনকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ হেফাজতে থাকা ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই বছরের ৯ নভেম্বর পালিয়ে যাওয়া এসআই আকবরকে কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। গত বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। চার্জশিটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া ছাড়াও একই ফাঁড়ির এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, ফাঁড়ির টুআইসি এসআই হাসান আলী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কথিত সংবাদকর্মী আবদুলল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়।

আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছেন। তার অনুপস্থিতে মামলার বিচার চলছে। বর্তমানে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।