ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২২ | ০১:১৬ | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২ | ০১:১৬

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জুনু আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যাার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।  শনিবার সকালে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মারা যাওয়া জুনু আক্তার উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে ও একই উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামের দাইয়ানের ছেলে কবির হোসেনের স্ত্রী।

জানা যায়, চার বছর আগে জুনু আক্তারের সঙ্গে কবির হোসেনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী কবির হোসেন বিভিন্ন সময়ে জুনু আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য মারধর করতেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে আবারও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুনুর স্বামী কবির হোসেন, শ্বশুর দাইয়ান ও শাশুড়ি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বাড়ির সবাই রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে তারা জুনু আত্মহত্যা করেছে বলে আশপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করে।

গৃহবধূর বড় ভাই সোলায়মান মিয়া জানান, শনিবার ভোরে একটি অচেনা মোবাইল নাম্বার থেকে তার বোনের মৃত্যুর সংবাদ দেওয়া হয়। তার দাবি, যৌতুকের জন্য বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মারধর করত। তিনি বোনের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

সোলায়মান মিয়া বলেন, আমার বোনের শরীরে গলায় একাধিক  আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও পড়ুন

×