ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রায় পড়াকালে বিমর্ষ ছিলেন প্রদীপ, মাথা নিচু ছিল চুমকির

রায় পড়াকালে বিমর্ষ ছিলেন প্রদীপ, মাথা নিচু ছিল চুমকির

আদালত প্রাঙ্গণে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন, ছবি: সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২ | ০৭:২৬ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ | ০৭:২৬

দুর্নীতির মামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন আদালতে পাশাপাশি ছিলেন। বিচারক রায় পড়ার সময় তাদের চেহারা বিমর্ষ হয়ে উঠেছিল। প্রদীপ বিচারকের দিকে তাকিয়ে থাকলেও চুমকি মাথা নিচু করে ছিলেন। রায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর চুমকিকে তার স্বজনরা সান্ত্বনা দেন।

এজলাস থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন প্রদীপ। প্রদীপ বলতে থাকেন, ‘আমি নির্দোষ, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি দুর্নীতি করিনি। ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।’

তবে চুমকিকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময়ও মাথা নিচু করে ছিলেন। তার পেছনে থাকা স্বজনদের তাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়। তাদের উভয়ের স্বজনরা আদালতে তাদের দেখতে ভিড় করেছিলেন।

বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসি আবদুল মজিদ এ মামলায় তিন পাতার সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে পৌনে ১১টার দিকে তাদের কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে দুর্নীতি মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। বিচারক ২৭ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১৭ ফেব্রুয়ারি চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ৪ এপ্রিল প্রথম সাক্ষ্য হয়। ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের দুইজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

মামলা দায়েরের পর চুমকি কারন পলাতক থাকলেও ২৩ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জন ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন

×