ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

যৌতুক না পেয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

যৌতুক না পেয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাফিজা খাতুন

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২ | ০৭:৪১ | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২২ | ০৭:৪২

নওগাঁর ধামইরহাটে যৌতুকের দাবিতে হাফিজা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর স্বামীর বিরুদ্ধে। গত ২৩ জুলাই উপজেলার বিকন্দখাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

হাফিজা ওই গ্রামের সালেকুল ইসলামের (৩০) স্ত্রী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাফিজার বাবা হাফিজুল ইসলাম গত ২৪ জুলাই ধামইরহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুরিশের কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব চকপ্রসাদ গ্রামের হাফিজুলের মেয়ে হাফিজা খাতুনের সাথে প্রায় ৪ বছর আগে একই এলাকার বিকন্দখাস গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সালেকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক করে দাবিতে সালেকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা হাফিজাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। সম্প্রতি হাফিজার পিতা এ বিষয়ে নওগাঁ আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে সালেকুল স্ত্রীকে আর কখনো নির্যাতন করবেন না মর্মে আদালতে মুচলেকা দিয়ে হাফিজাকে বাড়ি নিয়ে যান।

এর কিছুদিন পর ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে হাফিজার উপর আবার নির্যাতন শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর এক পর্যায় গত ২৩ জুলাই হাফিজাকে পিটিয়ে তার এক হাত ভেঙে দেয় এবং শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এসময় গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে হাফিজাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পরদিন হাফিজার বাবা তার জামাই সালেকুল এবং সালেকুলের বাবা আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে সালেকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যৌতুকের দাবিতে হাফিজাকে মারপিট করার বিষয়টি মিথ্যা। ওইদিন পা পিছলে পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙে গেছে।

ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা পলাতক থাকায় তাদের আটক করা যাচ্ছে না। শিগগিরই অভিযুক্তদের আটক করা হবে।

আরও পড়ুন

×