কালোপাহাড় ও জল নূপুরের ঘরে নতুন অতিথি

রংপুর অফিস
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২২ | ১০:৪৯ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২২ | ১০:৪৯
রংপুর চিড়িয়াখানার জলহস্তী কালোপাহাড় ও জল নূপুরের ঘরে নতুন অতিথি এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জল নূপুর একটি শাবক জন্ম দেয়। প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরের মধ্যে চিড়িয়াখানাটিতে এটি প্রথম কোনো জলহস্তীর শাবক প্রসবের ঘটনা।
এতে চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। মা জল নূপুরের সঙ্গে ছোট্ট জলহস্তীকে দেখতে দর্শনার্থীর ভিড়ও বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, শাবকটি সুস্থ আছে।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সালে রংপুর চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার সময় পুরুষ জলহস্তী লিয়নকে আনা হয়েছিল। লিয়ন ২০২১ সালের অক্টোবরে মারা যায়। এরপরই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নারী জলহস্তী জল নূপুর ও পুরুষ কালোপাহাড়কে নিয়ে আসে। চিড়িয়াখানার জলহস্তী শেডে তাদের মধ্যে ভাব জমলে গত বছরের ডিসেম্বরে গর্ভধারণ করে জল নূপুর। এর পর থেকে তাকে সব সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা বাহার কাছনার আসিফ শাহরিয়ার বলেন, বড় জলহস্তী অনেক দেখেছি। কিন্তু মা জলহস্তীর পাশে বাচ্চার ঘোরাফেরা কখনোই দেখিনি। অনেক ভালো লাগছে। জলহস্তীর বাচ্চা হয়েছে শুনেই চিড়িয়াখানায় ছুটে এসেছি।
রংপুর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, জল নূপুরের পেটে বাচ্চা এসেছে শোনার পর থেকে তাঁরা বিশেষ পরিচর্যা শুরু করেন। আট মাস অপেক্ষার পর গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে শাবক প্রসব করে জল নূপুর। শাবকের ওজন ২৫ থেকে ৩০ কেজি। বর্তমানে শাবকটি সুস্থ আছে।
রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বার আলী তালুকদার বলেন, নিরাপদে শাবক প্রসবের সুযোগ করে দিতে তাঁরা পুরুষ জলহস্তী কালোপাহাড়কে আলাদা আবাসস্থলে রেখেছিলেন। অনুকূল পরিবেশের কারণে রংপুর চিড়িয়াখানার সব বন্যপ্রাণী ও পাখি সুস্থ আছে। তারা বংশবিস্তার করছে।