বৃক্ষ রোপণ সন্তানের নামে

এস এম মজনুর রহমান, মনিরামপুর (যশোর)
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ০৩:০৭ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ০৩:০৮
সবুজ বিপ্লব ঘটাতে প্রত্যেক নবজাতকের নামে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষজুড়ে প্রত্যেক নবজাতকের বাড়ির আঙিনায় ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণের এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ উদ্যোগ নিয়েছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম।
নবজাতকের নামে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সম্প্রতি মনিরামপুরের নেহালপুর ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি গ্রামের তিন যমজ নবজাতক এবং প্রসূতি পূজা কর্মকারের বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম। যমজ তিন নবজাতক শ্রেয়া, স্নেহা ও স্নিগ্ধকে কোলে নিয়ে আশীর্বাদ করেন তিনি। নবজাতক এবং প্রসূতির জন্য নিয়ে যাওয়া জামাকাপড়সহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী ও মিষ্টি তুলে দেন তিনি। সবাই এ আনন্দে শামিল হয়ে মিষ্টিমুখ করেন। এছাড়া তাদের বাড়ির আঙিনায় তিন নবজাতকের নামে কেরালা হাইব্রিড জাতের তিনটি নারিকেলগাছের চারা রোপণ করেন। নাজমা খানমের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রসূতি পূজা কর্মকার, তার পরিবারসহ এলাকাবাসী। আনন্দ প্রকাশ করেন তিন নবজাতকের বাবা অনুপ কর্মকার। এর আগে ৩০ জানুয়ারি থেকে নবজাতকের নামে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি শুরু করেন নাজমা খানম। ওই দিন বিকেলে উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের আড়সিঙ্গাড়ী গ্রামের তিন যমজ নবজাতক ও প্রসূতি সীমা খাতুনের বাড়িতে যান তিনি। যমজ তিন নবজাতক সাবিয়া, সামিয়া ও সিরাজুলকে কোলে নিয়ে আশীর্বাদ করেন নাজমা খানম। সেখানেও নবজাতক এবং প্রসূতির জন্য নিয়ে যাওয়া উপহারসামগ্রী ও অর্থ প্রদান করা হয়। তাদের বাড়ির আঙিনায়ও তিন নবজাতকের নামে তিনটি নারিকেলগাছের চারা রোপণ করা হয়। প্রসূতি সীমা খাতুন আড়সিঙ্গাড়ী গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলামের স্ত্রী।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ২০১৯ সালে মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নাজমা খানম। নির্বাচনের পর থেকে অবহেলিত নারী ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন মনিরামপুর সদর ইউনিয়নের মা-বাবা হারা ইসমাইল হোসেন। পরে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। টাকার অভাবে তার উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে আলোচনায় আসেন নাজমা খানম।
নাজমা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে এবং সবুজ বিপ্লবের লক্ষ্যে উপজেলার প্রত্যেক নবজাতকের বাড়ির আঙিনায় নিজ হাতে ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগে নবজাতকের তালিকা চাওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জানুয়ারি মাসে শতাধিক শিশুর জন্ম হয়েছে। যার প্রকৃত তালিকা দু-একদিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
- বিষয় :
- বৃক্ষরোপন
- সন্তানের নামে বৃক্ষ রোপন