ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আদালতের নির্দেশিত তদন্ত নিজে না করায় ইউপি চেয়ারম্যানের দুই ঘণ্টা হাজতবাস

আদালতের নির্দেশিত তদন্ত নিজে না করায় ইউপি চেয়ারম্যানের দুই ঘণ্টা হাজতবাস

ওমর আলী প্রধান

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৩:০৭ | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৩:০৭

আদালতের দেওয়া তদন্তের কাজ নিজে না করে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবকে দিয়ে করানোয় নাটোরের তেবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধানকে দুই ঘণ্টার হাজতবাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম গোলজার রহমান এই হাজতবাসের নির্দেশ দেন। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রেখে এই সাজা দেওয়া হয়। তবে ঘণ্টাখানেক পর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর আমলী আদালতে তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জেবা খাতুন বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন। আদালত ওই ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু দায়িত্ব নিজে পালন না করে ইউপি সচিবকে দিয়ে কাজটি করান চেয়ারম্যান। 

ইউপি সচিব প্রতিবেদন দিলে তাতে অনেক ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ওই বিষয়ে চেয়ারম্যানকে তলব করেন আদালত। আদালতের প্রশ্নের জবাবে সচিবকে দিয়ে কাজ করানোর কথা স্বীকার করলে আদালত চেয়ারম্যানকে শাস্তি হিসেবে দুই ঘণ্টা হাজতবাস করার আদেশ দেন।

আদালতের নির্দেশের পর ইউপি চেয়ারম্যানকে দুই ঘণ্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখার কাজ শুরু হয়। অবশ্য ঘণ্টাখানেক পর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আদালত ওমর আলী প্রধানকে দুই ঘণ্টা হাজতবাসের নির্দেশ দিলে খবরটি দ্রুত নাটোর শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক মানুষ বিষয়টি স্বচক্ষে দেখতে আদালতে ছুটে যান। এ সময় সাধারণ মানুষ বলতে থাকেন, আজকের বিষয়টি অন্য সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। 

আরও পড়ুন

×