ছুটি না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:১৬ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:১৬
চাহিদা মাফিক ছুটি মঞ্জুর না করায় প্রধান শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখে মানববন্ধন করেছেন বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা তার স্বজনদের নিয়ে স্কুল মাঠে এই মানববন্ধন করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদ হোসেন প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন। পরে খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের দাঁড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা প্রধান শিক্ষক আজাদ হোসেনের কাছে ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু বিধি মোতাবেক আবেদন না করায় প্রধান শিক্ষক তার ছুটি মঞ্জুর করেননি। এতে প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন গোলাম মোস্তফা।
এ ঘটনার জেরে প্রধান শিক্ষক আজাদ হোসেনের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন গোলাম মোস্তফা। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করে তাকে জোরপূর্বক স্কুল কক্ষে তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখেন তিনি। প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ রেখে গোলাম মোস্তফা তার স্বজন ও অনুসারীদের নিয়ে স্কুল মাঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ স্কুল কক্ষ থেকে অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদ হোসেন জানান, বিধি মোতাবেক আবেদন না করায় তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। এতে সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আমার ওপর হামলা করে এবং আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ যথাসময় না এলে হয়তো আমাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারতো না।
এ ব্যাপারে দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন মানববন্ধন করেছে।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে এবং প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাশিদা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ রেখে মানববন্ধনের বিষয়টি আমি জেনেছি। একজন সহকারী শিক্ষক কোনোভাবে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।