ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

প্রতারণার ‘মাস্টার’ মেজবাহ হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা

প্রতারণার ‘মাস্টার’ মেজবাহ হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা

গ্রেপ্তার মেজবাহ উদ্দিন - সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৬:৫৬ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৭:১৬

চট্টগ্রামে মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী (৪২) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। যাকে প্রতারণার ‘মাস্টার’ হিসেবে অবহিত করছেন তারা। যিনি ব্যবসায় অংশীদার করার নামে বিভিন্নজনের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রোববার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ আজাদ কমিউনিটি সেন্টার ভবনের তার বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মেজবাহ হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট গ্রামের আবু তাহের চৌধুরীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী ও কোতোয়ালি থানায় প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২২টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১১টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি মামলা বিচারাধীন।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, বিত্তবান পরিবারের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন। তার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে রড তৈরির কাঁচামাল স্ক্র্যাপ কেনাবেচার ব্যবসায় নামেন তিনি। এতে সাফল্য পান।  একপর্যায়ে লাভের বিনিময়ে ব্যবসায়িক অংশীদার নেওয়া শুরু করেন তিনি। এভাবে তিনি অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত তার ব্যবসা রমরমা চলছিল। এরপর লোকসান শুরু হয়। লোকজনের কাছ থেকে নেওয়া টাকা দিতে না পেরে চাপের মুখে পড়েন তিনি। এরপরই প্রতারণার নানা কৌঁশল বেছে নেন মেজবাহ। সীতাকুণ্ডের শিপইয়ার্ডে আনা পরিত্যক্ত জাহাজ দেখিয়ে লোকজনকে ব্যবসায়িক অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেন। এভাবে তিনি শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

র‌্যাব আরও জানায়,  এছাড়াও নানা সময়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায় শেয়ার দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে তাদের কোম্পানি শেয়ারের টাকার লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে ব্যাংকের চেক দিতেন। ভুক্তভোগীরা চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে দেখা যেত, অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। এভাবে তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ সমকালকে বলেন, ‌বিভিন্ন ফন্দি এঁটে লোকজনের কাছ থেকে কয়েক'শ কোটি হাতিয়েছেন মেজবাহ। তাকে প্রতারণার মাস্টার হিসেবে বলা যায়। প্রতারিত হয়ে ২০১৫ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করা শুরু করেন লোকজন। এরপর আদালত ১১টি মামলায় তাকে সাজা দিয়েছেন। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×