ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি

নিখোঁজ ৩ জনের সন্ধান মেলেনি, উদ্ধার অভিযান সীমিত

নিখোঁজ ৩ জনের সন্ধান মেলেনি, উদ্ধার অভিযান সীমিত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২২ | ০৭:৪৬ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২২ | ১০:০৪

পঞ্চগড়ের বোদার করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে মর্মান্তিক নৌকাডুুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক শিশুসহ তিনজন। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সোমবার থেকে উদ্ধার অভিযান সীমিত করেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের একটি ইউনিট নদী এলাকায় টহল দেবে।

ভয়াবহ নৌকাডুবিতে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ তিনজন হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর গ্রামের মদনের ছেলে ভূপেন চন্দ্র বর্মণ ওরফে পানিয়া (৪০), বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খগেন্দ্র নাথ বর্মণের ছেলে সুরেন্দ্র নাথ বর্মণ (৬৫) এবং উপজেলা সদরের ঘাটিয়ার পাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথের শিশুকন্যা জয়া রানী (৪)।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর নৌদুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। শুরুতে জেলার পাঁচ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এবং তিনটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ করলেও তৃতীয় দিন থেকে আরও চারটি ইউনিট এবং একটি ডুবুরি দল তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। উদ্ধারকারীরা ঘটনার দিন রোববার ২৫ জন, সোমবার ২৫ জন, মঙ্গলবার ১৭ জন এবং সর্বশেষ বুধবার হিমালয় চন্দ্র নামে নববিবাহিত এক যুবকের মরদেহসহ ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে ৩১ জন নারী, ২১ জন শিশু এবং ১৭ পুরুষ। জরুরি তথ্যকেন্দ্রের হিসাব মতে এখনও তিনজন নিখোঁজ। তবে নৌদুর্ঘটনার নবম দিন সোমবার উদ্ধারকাজ সীমিত করা হয়েছে।
শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর গ্রামের ভূপেন চন্দ্র বর্মণের ছেলে তপন চন্দ্র বর্মণ বলেন, 'এখন আমার বাবাকে জীবিত পাওয়ার আর আশা নেই। সঠিকভাবে মরদেহ পাওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছি। তবে যে কোনো অবস্থাতেই হোক, সৎকার কারার মতো পেলেও ছেলে হিসেবে দায়িত্বটা পালন করতে পারতাম। এত মানুষ মারা গেল, এত মানুষ তাদের স্বজনের মরদেহ পেল। আমি এতই হতভাগা যে, বাবার শেষকৃত্য করাটাও ভাগ্যে জুটল না!
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শেখ মো. মাহবুবুল আলম বলেন, উদ্ধার অভিযান সীমিত করলেও আমরা নজর রাখছি।

আরও পড়ুন

×