বগুড়ায় নারীকে হত্যায় সাবেক স্বামীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ০৬:৫৯ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ০৭:১২
বগুড়ায় এক নারীকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- শেরপুর উপজেলার পালসন গ্রামের প্রয়াত আরিফ উল্লাহ ফকিরের ছেলে জিল্লুর রহমান, প্রয়াত জহুরুল ইসলামের ছেলে গোলাপ হোসেন ও খারতাপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ মণ্ডল। নিহত নারীর নাম চায়না খাতুন। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাপ হোসেনের সাবেক স্ত্রী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও এপিপি নাছিমুল করিম হলি বলেন, ১৯৯৪ সালে পরিবারের সম্মতি ছাড়া চায়নাকে বিয়ে করেন গোলাপ হোসেন। এরপর তারা উপজেলার মির্জাপুরে বাস করছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের এক বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপরও তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। বিষয়টি নিয়ে গোলাপের পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। এসব কারণে চায়নাকে হত্যার পরিকল্পনা করে গোলাপের পরিবার।
এপিপি নাছিমুল জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ রাতে উপজেলার পালশান গ্রামে চায়নাকে ডেকে আনেন তার সাবেক স্বামী। এ সময় গোলাপকে সহযোগিতা করার জন্য জিল্লুর ও ফরহাদ সেখানে উপস্থিত হন। গল্প করার সুযোগে চায়নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তারা। এরপর আসামিরা চায়নার মরদেহ ওই গ্রামের এক বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। পরে চায়নার পরিবার মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় তার ভাই হাফিজার রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এর দুই বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
- বিষয় :
- নারীকে হত্যা
- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড