'সিত্রাং আমারে পথে বসাইয়া দিলো'

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ | ০৭:১৯
এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দুই একর জমিতে মাছের ঘের করেছিলেন বরিশালের হিজলার বড়জালিয়া গ্রামের ইয়াসিন মুন্সী। চাষ করেছিলেন পাঙাশ আর তেলাপিয়া। সোমবার রাতে সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট উঁচু জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ইয়াসিনের ঘেরের সব মাছ। গতকাল সকালে ঘেরের পাশে দাঁড়িয়ে ইয়াসিন মুন্সী বলেন, 'ঘেরে একটা মাছও নাই। ১৫ লাখ টাকার মাছ ভাইস্যা গ্যাছে। সিত্রাং আমারে পথে বসাইয়া দিলো। কীভাবে ঋণ মিটামু জানি না।'
পাশের গ্রাম শ্রীপুরের মাছ চাষি মাসুদ সরদার বলেন, 'গাছ ও গরু বেইচ্যা এক একর জমিতে ঘের করছিলাম। এক রাইতে আমার সব শ্যাষ হইয়া গেছে। ঘেরে ১০ লাখ টাহার মাছ আছিলো, এহন একটা মাছও নাই।'
সিত্রাংয়ের আঘাতে বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাছ চাষিরা। হিজলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে বড়জালিয়া, হরিনাথপুর ও গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে মাছ চাষ হয় বেশি। বড়জালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, সিত্রাংয়ের আঘাতে কিছু কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত এবং গাছপালা উপড়ে গেলেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘের মালিকরা। সিত্রাং এবং অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা ও শাখা নদীগুলোর পানি ফুঁসে ওঠে। এতে শুধু বড়জালিয়া ইউনিয়নেরই অর্ধশত ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
- বিষয় :
- সিত্রাং
- মাছের ঘের
- জোয়ারের পানি