হুমকিতে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট

কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে তোলা হচ্ছে বালু-সমকাল
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৫:১৩
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কুশিয়ারা ডাইক ও বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টের কাছে কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে ভাঙনের কবলে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনা দুটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবু জাহির এমপি জোর সুপারিশ করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলায় কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্রের সাহায্যে নিয়মিত বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে আউশকান্দি ইউনিয়নের বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টসহ ওই এলাকার পাহাড়পুর, পারকুল বনগাঁও ও ব্রাহ্মণগ্রামের শেরপুর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পাওয়ার প্লান্ট এলাকায় মৌলভীবাজার জেলা সদরের তালুকদার এন্টারপ্রাইজের আশরাফুল ইসলাম ওরফে বালু আশরাফ কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তুলে আসছেন। এ বালু পার্শ্ববর্তী অর্থনৈতিক জোন শ্রীহট্টতে সরবরাহ করা হচ্ছে। ছোট জাহাজে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদীতীরের ১০টি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কুশিয়ারা ডাইকের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বালু উত্তোলনকারী তালুকদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আশরাফ হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে- এমন কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু তুলছেন। আমার কোম্পানি কোনো বালু তুলছে না। মনাই এন্টারপ্রাইজ বালু তুলছে।
এদিকে মনাই এন্টারপ্রাইজের মনাই মিয়া জানান, কুশিয়ারা নদীতে তাঁর লিজ থাকলেও তিনি কোনো বালু তুলছেন না।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামের ভাষ্য, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা সাধারণত যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করেন। এ কারণে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে থাকতে পারে।