দেখা নেই সূর্যের, ঘন কুয়াশায় কুড়িগ্রামে যান চলাচল বিঘ্ন

পৌষের শুরুতেই কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ (ছবি-
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ২২:০৮ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ২২:৪০
ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডার প্রভাবে পৌষের শুরুতেই কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার জনপদ।
শুক্রবার ভোর থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে জেলার ট্রেন ও নৌ চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। দেরি করে ছাড়ছে এসব যানবাহন। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা।
এ অবস্থায় চলতি মাসের শেষের কয়েকটি দিন ও বছরের শুরুতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকে ও বছরের শুরুতে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি তীব্রতায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে এ তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন- সমকাল
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী বসবাস করা রিকশা চালক জয়নাল মিয়া বলেন,'গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। সরকারিভাবে এখনও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।'
একই এলাকার কৃষক রফিকুল হোসেন বলেন,'শীতের মধ্যেই আলু ক্ষেতের পরিচর্চা, বীজতলা তৈরীসহ নানা ধরনের কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। কাজ করতে গিয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি অনেকেই।'
শীত মোকাবিলায় দুর্গত মানুষের সহায়তার প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আসন্ন শীতে জেলার গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত এসব কম্বল ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা শাখা।