টাকা আত্মসাতের মামলায় তিন প্রতারক আটক

প্রতীকী ছবি
জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ০০:৫৮
জীবননগরে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের মামলায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। প্রতারকরা প্রবাসী ছেলের ইমো নম্বর হ্যাক করে বিদেশে ব্যবসা করার কথা বলে তাঁর বাবাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। ছেলে ভেবে প্রতারকদের বিকাশে দুই দফায় পাঁচ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন বাবা।
পরে ছেলের সঙ্গে কথা বললে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ার বিষয়টি আঁচ করতে পারেন বাবা। এরপর প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার মথুরডাঙ্গার রফিকুল ইসলামের ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ (২৬), বোয়ালিয়া থানার রানীনগরের মৃত সৈয়দ ইয়াসিন আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৬০) ও জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৩)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার উথলীর ফকির মোহাম্মদের ছেলে শরিফুল ইসলাম দুবাইয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। শরিফুল নিজের ব্যবহূত ইমো নম্বর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতেন। গত অক্টোবর মাসে তাঁর ব্যবহূত ইমো নম্বর হ্যাক করে ছেলে পরিচয় দিয়ে কথা বলে প্রতারকরা। বিদেশে ব্যবসা করার কথা বলে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি না বুঝে দুই দফায় প্রতারকদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে পাঁচ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকাশ নম্বরের সন্ধান মেলে। খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রতারক চক্র আটটি বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
প্রবাসীর বাবা ফকির মোহাম্মদ বলেন, ছেলে বিদেশে ব্যবসার কথা বলে টাকা চাইলে তাঁদের মনে সন্দেহ হয়নি। তাঁদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে গত ২৫ অক্টোবর ১ লাখ ৩০ হাজার ও ২৬ অক্টোবর দুই দফায় আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা পাঠানো হয়। পরে ছেলের সঙ্গে কথা হলে বুঝতে পারেন প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন।
জীবননগর থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, প্রতারকরা ফেক আইডি খুলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তদন্ত শেষে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়েছে।
- বিষয় :
- জীবননগর
- প্রতারক আটক
- আটক
- আত্মসাতের মামলা
- টাকা আত্মসাত