জাপা প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমানের সাক্ষাৎকার
ভোটে জিতে মানুষকে ভুলে যেতে চাই না

ছবি: ফাইল
নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরাঞ্চল ও রংপুর অফিস
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৬:৩৬
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানিয়েছেন, সরকার সহযোগিতা করলে রংপুরের চেহারা তিনি পাল্টে দেবেন। জাতীয় পার্টি থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেন তিনি।
ভোটে এগিয়ে থাকাকালে সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোস্তফা বলেন, ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর একটি বড় ও উচ্চাভিলাষী সিটি করপোরেশন। বিগত সময়ে মানুষের চাহিদা-আকাঙ্ক্ষার কিছুই এখনও পূরণ করা সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরে এসে বলে গেছেন, এখানকার উন্নয়নের দায়িত্ব তাঁর। সে কারণে দাবি, আমাকে এবার ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হোক। অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মতো রংপুরের উন্নয়নে সরকার নজর দিক। তাহলে রংপুরবাসীকে আমি একটি আধুনিক শহর উপহার দেব।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, মাত্র ৫৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার সিটি করপোরেশন রাজশাহী, সেখানে বরাদ্দ অনেক বেশি। অথচ রংপুর সিটি ২০৫ বর্গকিলোমিটার। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রী দেন, আমাকে সমপরিমাণ দিলেও পিছিয়ে পড়া এ এলাকার চেহারা পাল্টে দেব।
বিগত ৫ বছরে অনেক কাজ শেষ করতে পারেননি স্বীকার করে এ জাপা নেতা বলেন, সিটি করপোরেশনে যুক্ত ৮টি ইউনিয়নের অনেক রাস্তা কাঁচা। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়নি। সিটিতে থেকেও তাঁরা গ্রামের বাসিন্দা। এখানকার ড্রেনেজ সিস্টেম অপরিকল্পিত, একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আমি এবার এসব সমস্যা নিয়ে কাজ করতে চাই। শহরের শ্যামাসুন্দরী খালকে দৃষ্টিনন্দন, ঘাঘট নদীতীর বাঁধাই, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে এবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চাই।
তিনি বলেন, পৌরসভার সেটআপ দিয়ে আমরা ১০ বছর সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালাচ্ছি। দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। ভাড়া করে লোক এনে প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করি। এ অবস্থার উন্নয়নে সরকারের সহায়তা দরকার। মোস্তফা বলেন, পরিকল্পনা অনুসারে এবার শুরু থেকেই আমাদের চাহিদা সরকারের কাছে ডকুমেন্টারি আকারে উপস্থাপন করব। আমি আমার ন্যায্য হিস্যা বুঝে নেব।
বিগত ৫ বছরে রংপুরে সাড়ে ১২শ কোটি টাকার কাজ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রংপুর সিটি ঘোষণার প্রথম মেয়াদের মেয়র মাত্র ২৭০ কোটি টাকার কাজ করেছিলেন। এখন চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে আশা করছি, এই মেয়াদে রংপুরবাসীর সব চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে পারব। এটি আমার নির্বাচনী অঙ্গীকারও। আমি ভোটে জিতে মানুষকে ভুলে যেতে চাই না। রংপুরবাসী যে কোনো প্রয়োজনে সুখে-দুঃখে আমাকে সব সময় পাশে পাবে।