ফৌজদারি মামলার আসামিকে গ্রাম পুলিশে নিয়োগ

প্রতীকী ছবি
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৭:০১
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিয়োগবঞ্চিত আবদুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় নিয়োগ কমিটির সভাপতি ইউএনও, ওসিসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২ আক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড চরকলাকোপা এলাকার শরাফত আলীর ছেলে আবদুর রহমান প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। একই সময়ে মো. আব্বাসের ছেলে মো. রুবেলকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়।
১৯ অক্টোবর আবদুর রহমানকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে পোশাক দিয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। হঠাৎ পুলিশ ভেরিফিকেশনে তাঁর বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্যের অভিযোগ তোলা হয় এবং তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। পরে রুবেলকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলার আসামি নিয়োগ পাবেন না। তবে রুবেল আদালতে দায়ের হওয়া মামলার (মামলা নম্বর-৩৭৯/২০২২) আসামি। হামলা, প্রাণনাশের হুমকি ও নারীর শ্নীলতাহানির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। কয়েক মাস আগে বরিশালে ফোন চুরির মামলায় রুবেল কারাবরণও করেছিলেন।
আবদুর রহমান দাবি করেন, ২০১৯ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন এবং তিনি ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। কিন্তু ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটিতে তাঁর নাম রয়েছে বলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে অভিযোগ আনা হয়। ছাত্রদলের কমিটির তালিকায় থাকা আবদুর রহমান পূর্ব চরকলাকোপার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
রহমান অভিযোগ করেন, চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদার তাঁর কাছে মোটার অঙ্কের টাকা দাবি করেন। ঋণ নিয়ে এক লাখ টাকা দেন চেয়ারম্যানকে। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে চেয়ারম্যান রুবেলের পক্ষ নেন। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদার দাবি করেন, তিনি রহমানের কাছ থেকে টাকা নেননি। চাকরি না পেয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
রামগতি থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, রহমানের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের নেতিবাচক মন্তব্য থাকায় তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রুবেলের মামলার বিষয়ে অবগত ছিলেন না বলে দাবি করেন ওসি।
ইউএনও ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি এসএম শান্তনু চৌধুরী বলেন, পুলিশি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল না। বিষয়টি তিনি আদালতে লিখিতভাবে জানাবেন।
- বিষয় :
- কমলনগর
- গ্রাম পুলিশ
- অনিয়মের অভিযোগ
- নিয়োগ কমিটি