থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে সিএমপির নির্দেশনা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৭:০৯ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৭:১৩
ইংরেজি বছরের শেষদিন ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপন ঘিরে নগরীর জনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
শুক্রবার সিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পারকি ও পতেঙ্গা সমদ্র্র সৈকতে জনসাধারণের অবস্থান না করা যাবে না। নগরীর বিভিন্ন রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও এমনকি প্রকাশ্যে জমায়েত কিংবা কোনও ধরনের উৎসবের আয়োজন থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে নাচ-গান করা যাবে না। ভবনের ছাদে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না। রাস্তায় উচ্চঃস্বরে গাড়িতে হর্ন বাজানো এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল চালাতেও নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে নির্দেশনার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন, সব ধরনের বার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং রাত ১০টা থেকে ফাস্ট ফুডের দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্থান ভাড়া দেওয়া যাবে না। অনুষ্ঠানের জন্য অনুমোদন থাকলেও অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য আলাদা স্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসঙ্গে আনন্দ উদযাপনের নামে নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
যেকোনও প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ কিংবা সিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬ ও ০১৩২০-০৫৭৯৯৮ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধও জানানো হয় নির্দেশনায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থার্টি ফাস্ট নাইট নিয়ে বিশেষ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা- তা দেখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন, গীর্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।