নতুন বই পাওয়া নিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা
শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে নতুন বই পায়নি ৩০০ শিক্ষার্থী

ফাইল ছবি
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৫:০৮
বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার শেখ ফজিলাতুন নেছা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা দুদিনেও নতুন বই পায়নি। মাদ্রাসার দুই সুপারের দ্বন্দ্বে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন মাদ্রাসায় গিয়ে খালি হাতে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ সংশ্নিষ্টরা। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের পৃথক তালিকা পেলে দু'একদিনের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হবে।
উপজেলার ৪৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৮টি দাখিল মাদ্রাসায় নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। শুধু দাসিয়ারছড়া শেখ ফজিলাতুন নেছা দাখিল মাদ্রাসায় বই বিতরণ হয়নি। শিক্ষার্থীরা কবে নতুন বই পাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা থাকায় সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম ও সহসুপার শাহানুর আলমের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন দু'জন। পৃথক মামলা করেছেন আদালতে। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় দু'জন পৃথকভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরে। এ নিয়ে বিপদে আছেন সংশ্নিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও।
নবম শ্রেণির ছাত্র মেহেদি হাসান ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সোয়াগী খাতুন জানায়, বই নেওয়ার জন্য দু'দিন ধরে ঘুরছে তারা। শিক্ষকেরা বলছে, প্রশাসন বই দিলে বিতরণ করা হবে। অভিভাবক আমিনুল ইসলাম বলেন, সপ্তম শ্রেণির বই নিতে মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা মাদ্রাসায় গেলেও পায়নি। একই কথা বলেন নুর আলম। তিনি জানান, মেয়ে বই না পেয়ে কান্নাকাটি করেছে।
এ বিষয়ে সহসুপার শাহানুর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের চাহিদা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দেওয়া হলেও পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, তাঁদের কাছে শিক্ষার্থীদের ও বাবার নাম এবং শ্রেণি ও রোল উল্লেখ করে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেবেন।