ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আন্দোলনের মুখে অবশেষে বদলি রমেক হাসপাতাল পরিচালককে

আন্দোলনের মুখে অবশেষে বদলি রমেক হাসপাতাল পরিচালককে

ছবি- সংগৃহীত।

রংপুর অফিস

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:৪৭ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:৪৭

ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসানকে বদলি করা হয়েছে। 

আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাঁকে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডা. শরীফুল হাসান নিজেই।

এর আগে আজ সকালে ডা. শরীফুল হাসানের অপসারণের দাবিতে কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন। পরিচালক হাসপাতালে না আসায় কর্মচারী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নানা দাবিতে উপপরিচালক আ খ ম আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দেন। দাবি বাস্তবায়নে পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো- কর্মস্থল ও আবাসস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, আইডি কার্ড প্রদান, ডা. মিলন হোস্টেলের জন্য কেনা আসবাবপত্র দ্রুত সরবরাহ ও ডক্টরস ক্যান্টিনের মানোন্নয়ন করা।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. রাকিবুল হাসান তারেক বলেন, চিকিৎসক পরিষদের নাম ব্যবহার করে হাসপাতালের মূল গেটে ব্যানার টানোনা হয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম ভাঙিয়ে হাসপাতালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে সুবিধাবাদি একটি মহল। দাবি কার্যকর না হলে তাঁরা কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হবেন।

অন্যদিকে, সকাল থেকে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন হাসপাতালের তিন শতাধিক কর্মচারী। হাসপাতালের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শাহীন হোসেন বলেন, কর্মচারীদের বদলির হুমকি, আউটসোর্সিং নিয়োগে মূল্যায়ন কমিটির মতামতকে আগ্রাহ্য করাসহ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেননি হাসপাতাল পরিচালক। আমরা তার অপসারণ চাই।

এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হাসপাতালের সামনে মেট্রো পুলিশের সাঁজোয়া যান রাখা হয়। রংপুর কোতোয়ালি থানার পরিচালক (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল ও কর্মচারীদের সিন্ডিকেট রুখতে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন সর্বস্তরের চিকিৎসক। ২৮ সেপ্টেম্বর ১৬ কর্মচারীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদলি করা হয়। এর পর ২ অক্টোবর হাসপাতালের উপপরিচালকসহ তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এর পর থেকে নানা দাবিতে চলছিল আন্দোলন।

আরও পড়ুন

×