ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

দুই নাতনির মৃত্যুতে বিলাপ থামছে না মনোয়ারার

দুই নাতনির মৃত্যুতে বিলাপ থামছে না মনোয়ারার

বিষক্রিয়ায় নিহত দুই বোনের নানির আহাজারি। ছবি-সমকাল

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ | ১০:৩০ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২:৩০

জন্মের পর থেকেই নানী মনোয়ারা বেগমের কাছে বড় হয়েছে গাজীপুর সদর উপজেলার সালনা এলাকায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় নিহত দুই বোন আশামণি ও আলিফা। বাবা আশরাফ আলীর কেনা কেক নানী মনোয়ারাই খাইয়েছিলেন দুই নাতনিকে। আর ওই কেক খেয়ে বিষক্রিয়ার মারা গেছে দুই নাতনি। মর্গে দুই নাতনির নিথর দেহ পড়ে থাকলেও কিছুতেই এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মনোয়ারা। 

সোমবার গাজীপুরের সালনা মোল্লা পাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসার উঠানে এভাবেই বিলাপ করতে করতে নাতিদের কথা জানাচ্ছিলেন মনোয়ারা। 

আশরাফ আলী ও তার স্ত্রী মিনারা আক্তার বাকরুদ্ধ। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন স্থানীয়রা।  

মৃত শিশুদের বাবা আশরাফুল ইসলাম জানান, কেক খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে ৩ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার বড় মেয়ে আশামনি ও ছোট মেয়ে আলিফাকে মৃত ঘোষণা করেন। একইভাবে তাদের ভাড়া বাসার অপর শিশু সিয়ামও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আশরাফুলের কোনো সমস্যা হয়নি।

অপর শিশু সিয়াম (৬মাস) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বাবার নাম হিরা মিয়া। তিনিও ওই একই বাড়ির মালিকের বাসায় ভাড়া থাকেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু দুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুটি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা বলা ঠিক হবে না। সিয়াম শঙ্কামুক্ত আছে।

গাজীপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। কেক-পেটিস শিশু দুটির বাবাও খেয়েছে, তার কোনো সমস্যা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন

×