ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দিতে ঘুষ, ভিডিও ফাঁস

ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দিতে ঘুষ, ভিডিও ফাঁস

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৪:৫৮ | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫:১৯

নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুস সাদিকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম ও গ্রাহককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দিতে তিনি ৫০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

অভিযুক্ত সাদিক ওই কার্যালয়ের জেএম শাখায় অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত। এর আগে তিনি একই কার্যালয়ের সংস্থাপন শাখায় ছিলেন। ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল চাকরিতে যোগ দেন তিনি।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে সাদিককে বলতে শোনা যায়, ‘৫০০ টাকার কমে অফ টাইমে কোনো কাজ হবে না। আপনি যদি পেপারে (খবরের কাগজ) উঠিয়ে দেন (প্রকাশ করেন) তাতেও রাজি আছি। আমরা চাচ্ছি ওটা। কারণ, আমার ইমিডিয়েটলি বদলি নেওয়ার কথা এই শাখা থেকে। দ্বাদশ নির্বাচনে বসে খাবো কয়টা দিন।’

এ সময় অপর দিক থেকে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ২০০ টাকা দেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, 'কোনো কাজ হবে না।' ভুক্তভোগী ব্যক্তি আবারও জিজ্ঞাসা করেন, 'কত টাকা হলে কাজ হবে?' উত্তরে সাদিক বলেন, ‘৫০০ টাকা দিলে রাত ১০টা হলেও ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দিয়ে তারপর বাড়ি যাব।’ পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ৫০০ টাকা দিলে সাদিক আরও ১০০ টাকা দাবি করেন।

জানা গেছে, জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই রাজারহাট কাবাদি রহমানিয়া নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ওই মাহফিলের অনুমতির জন্য সম্প্র্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেএম শাখায় আবেদন করেন মাদ্রাসা সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান। অনুমতি দিতে অফিস সহকারী সাদিক টাকা (ঘুষ) দাবি করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মালেক কাগজটির জন্য গেলে তাঁর কাছেও টাকা চান সাদিক। এ সময় কৌশলে ভিডিও করে রাখেন মালেক। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

জানতে চাইলে মালেক বলেন, 'সাদিক ঘুষ নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কয়েকদিন ধরে কাগজটির জন্য অনেকেই ঘুরছেন। গত বৃহস্পতিবার কাগজটির জন্য গেলে সাদিক প্রকাশ্যে ৫০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তার শাস্তি চাই।'

অভিযুক্ত সাদিক বলেন, ‘আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কোনো ঘুষ নেইনি। তিনি নিজেই টাকা দিয়ে ভিডিও করেছেন। পরিকল্পিতভাবে ভিডিওটি করা হয়েছে।’

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন

×