এবার রাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ করানোর হুমকির অভিযোগ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৩৭ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৪০
গতকাল সোমবার ওই ছাত্রী ইনস্টিটিউটে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী আতিফা হক শেফা শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তিনি মন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, কয়েক দিন ধরে তিনি ইনস্টিটিউটের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ক্রমাগত মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক সিনিয়র ছাত্রের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখানে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান, ইতি মণ্ডল, শাহবাজ তন্ময়, আতিফা হক শেফা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সে সময় নানা ধরনের অশালীন কথা বলেন। পরে তাঁরা নানাভাবে তাঁকে মানসিক হেনস্তা করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও উল্লেখ করেন, গত রোববার তাঁকে ফোনকল দিয়ে দেখা করার জন্য আতিকুর ও আতিফা চাপ দিতে থাকেন। বাধ্য হয়ে তিনি তাঁর কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে বিভাগের সামনে চায়ের দোকানে যান। সেখানে তাঁর চরিত্র নিয়ে নানা রকম কথা বলা হয়। তাঁকে গালাগাল করা হয় এবং ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা সহপাঠীদেরও হেনস্তা করা হয়। তাঁকে চরিত্রহীন বলে গালি দেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী তাঁকে ক্রমাগত মৌখিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন।
এর আগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা তাঁর বিভাগের সিনিয়র ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে দুজনের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করা হয় এবং ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করানোর হুমকি দেওয়া হয়। এ সম্পর্কিত একটি অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে, যা সমকালের এই প্রতিনিধির কাছে রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আতিফা হক শেফা ও আতিকুর রহমানের মোবাইল ফোনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারবার কল করা হলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি কানে এসেছে। এটা আমাদের ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরীণ বিষয়; তবে ছাত্রলীগের পদ থাকায় তাঁদের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইনস্টিটিউটের তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আকতার বানু বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি অন্যান্য প্রমাণ দিতে বলেছি। সব প্রমাণ পাইনি এখনও। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি রোববার। মঙ্গলবার পর্যন্ত এমন অভিযোগ আমার হাতে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।