মনোনয়ন বঞ্চিতরাও ভোটের মাঠে

প্রতীকী ছবি
আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩ | ০৮:৩৮ | আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ | ০৮:৩৮
আলমডাঙ্গা নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকসহ প্রচার চালাচ্ছেন বেশ জোরেশোরে। এদিকে বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে নৌকার প্রার্থী ও স্থানীয় নেতারা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আগামী ১৬ মার্চ উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা ভোটের মাঠে সক্রিয়। নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট যুদ্ধে লড়ছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলী।
এদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়াদ্দার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক মিশর আলীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
১ মাস আগে নাশকতা মামলার গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমির দারুস সালাম কারাগার থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার সমর্থনকারীরা গোপনে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আওয়ালুজ্জামান রাসেল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ব্যবসায়ী আলমঙ্গীর, হাবিবুল্লাহ ও আতিকুর রহমান আতিক। প্রার্থীদের দাবি, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের।
জোরগাছা গ্রামের স্কুলশিক্ষক তাহের উদ্দীন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।’
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জানান, ‘আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে আমি জিতব বলে বিশ্বাস করি। তবে কেউ সহিংসতা সৃষ্টি করতে চাইলে, তাদের মোকাবেলা করা হবে।’
নৌকার প্রার্থী হায়াত আলী বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটুক তা চাই না। সাধারণ মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে জয়ী করবেন বলে আশাবাদী।’