ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বগুড়ায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, বখাটে আটক

বগুড়ায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, বখাটে আটক

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩ | ১৬:৪৮ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ | ১৬:৪৮

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে এক ছাত্রীকে (১৮) তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজা মিয়া নামে এক বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আপস-মীমাংসা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার রাজা মিয়া নন্দীগ্রামের পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। 

নন্দীগ্রাম থানায় ওই ছাত্রীর করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নন্দীগ্রামে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন তিনি। পথে কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর বাজারসংলগ্ন দমদমা পাকা রাস্তার ওপর থেকে ছাত্রীকে অপহরণ করে বখাটে রাজা। এর পর ভাটরার নাগড়া এলাকায় তার বন্ধু বুলবুলের বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে আটকে রাখে এবং ধর্ষণ করে। ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে গেলে রাজা পালিয়ে যায়। 

ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ভাটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী কয়েক দফা সালিশ বসানোর চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রীকে পুলিশের আশ্রয় নিতেও নিষেধ করেন। কিন্তু এতে শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যর্থ হন। এভাবে পাঁচ ঘণ্টা পার হয়ে যায়। 

এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ কল দেন। কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। 

চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী ধর্ষণের ঘটনার কথা শুনেছেন বলে জানান। তিনি আপস-মীমাংসার জন্য সালিশ বসানোর চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় কুমিড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহারুল আলম জানান, মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন

×