প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | ০৫:২৪ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | ০৫:২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের সদকী রায়পাড়া এলাকায় থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম মোছা. মৌসুমি খাতুন (২৯)। তিনি ওই এলাকার কাতারপ্রবাসী মো. মাসুদ হোসেনের (৩২) স্ত্রী।
তবে নিহত গৃহবধূর বাবা বাড়ির স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ স্বামীর বাড়ির লোকজন মৌসুমিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। হত্যার পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১১ বছর আগে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের চড়াইকোল এলাকার মো. ইউনুছ আলীর মেয়ে মৌসুমির সঙ্গে সদকী ইউনিয়নের রায়পাড়া এলাকার মো. আনার প্রামাণিক ছেলে মাসুদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছে। মেয়ের সুখের জন্য ইউনুছ আলী কয়েকবার টাকা ও আসবাবপত্র দেন। এদিকে প্রায় ৬ মাস আগে মাসুদ কাতারে যান। বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই মাসুদ ও তাঁর পরিবারের লোকজন আবারও যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মৌসুমির মরদেহ উদ্ধার করে।
মৌসুমির বাবা মো. ইউনুছ আলী বলেন, জামাই বিদেশে যাওয়ার পর আবারও যৌতুক চায়। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। হঠাৎ ভোরে জানতে পারি, মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্বশুর বাড়ির তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাশুড়ি জহুরা খাতুন বলেন, রাতে ছেলে ও ছেলের বউয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এ কারণে সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৌসুমিকে কেউ মারেনি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে গৃহবধূর গলায় দাগ রয়েছে।