ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম-৮ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি দুই প্রার্থীর

চট্টগ্রাম-৮ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি দুই প্রার্থীর

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ। ছবি-সমকাল

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১১:৩৮ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩:০৭

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-প্রভাবমুক্ত নয় উল্লেখ করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করে পৃথক প্রেস ব্রিফিং করেছেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা (আম প্রতীক)।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে ৬ দফায় রিটানিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানালেও তিনি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করেননি। অভিযোগ গ্রহণ করার পরও তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। 

তিনি বলেন, রিটানিং অফিসারের এই ব্যর্থতা নির্বাচনকে কুলষিত করেছে। নির্বাচন কার্যক্রমকে অকার্যকর করেছে। সরকার এ নির্বাচনকে অবাধ-সুষ্ঠু-প্রভাবমুক্ত-নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য যথেষ্ট আন্তরিক ছিল। 

রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা-কথিত জনপ্রতিনিধি এ নির্বাচন ধূলিসাৎ করেছে। জাতির কাছে সরকারকে বিতর্কিত করেছে উল্লেখ করে তিনি এই নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখার দাবি জানান।

আবদুস সামাদ বলেন, উপজেলার সারোয়াতলী বেঙ্গুরা কে বি কে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২টার দিকে মাওলানা তাজুল ইসলাম মোমবাতি প্রতীকে ভোট দেওয়ায় স্থানীয় মেম্বার আব্বাস উদ্দিন ও আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম তাকে মারধর করেন। চরণদ্বীপ আব্বাসীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোমবাতি প্রতীকে ভোট দেওয়ায় দুপুর আড়াইটার দিকে ইসলামী ফ্রন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুমন ফারুকীকে কুপিয়ে এবং মো. তারেক ও হারুনুর রশীদকে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করেন। .

তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিরা বাটন টিপে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। এ আসনের নগর অংশে শতকরা ২-৩ ভাগ ও বোয়ালখালী অংশে ৫-৭ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন সুতরাং এ নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।

এ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করিনি, শেষ পর্যন্ত আছি।

অপরদিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা (আম প্রতীক) এ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পরে না উল্লেখ করে বলেন, আমি নির্বাচন বর্জন করিনি তবে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।  

উপ নির্বাচনে মোট প্রার্থী পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ (নৌকা প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি প্রতীক), ইসলামিক ফ্রন্টের এস এম ফরিদ উদ্দীন (চেয়ার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কামাল পাশা (আম প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী (একতারা প্রতীক)। উপনির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নোমানের সঙ্গে সেহাবের।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন

×