ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ভাইয়ের হাতে খুন হয় কিশোর মালেক: পুলিশ

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ভাইয়ের হাতে খুন হয় কিশোর মালেক: পুলিশ

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মালেক হত্যার ৩ আসামি - সমকাল

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ০৯:৪০ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ০৯:৪০

চুরি-ছিনতাইয়ের কাজে বাধা দেওয়ায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাই ও বন্ধুরা মিলে কিশোর মালেক সরদারকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর এমন দাবি করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ। তার আগে গতকাল শুক্রবার দুপচাঁচিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মালেক হত্যায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চেঙ্গা গ্রামের তারেক (২১) ও মোক্তার হোসেন (২১) এবং আদমদীঘির মুরইলের মাহবুব হোসেন (৩০)। এর মধ্যে তারেক নিহত মালেকের আপন বড় ভাই।

দুপচাঁচিয়ার চেঙ্গা মহল্লায় বাড়ির পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে শুক্রবার সকালে মালেক সরদার নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মালেক দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ডের একটি মুরগী দোকানের কর্মচারী ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাহবুব, মোক্তার ও তারেক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ছিনতাই ও মাদক সেবন করে। তারেকের ভাই মালেক এসব বিষয় জানতো। সে তার ভাই তারেককে এসব অপরাধ না করার জন্য নিষেধ করত এবং বিষয়টি পুলিশকে জানানোর ভয় দেখিয়েছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যাকাণ্ডের চারদিন আগে তারেককে মারধর করে মালেক। এরপর তারেক ও তার সহযোগীরা মালেককে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতে মালেককে শ্বাসরোধে হত্যা করে অভিযুক্তরা।

নাজরান রউফ বলেন, মালেকের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। পরে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারাও হত্যাকার বিষয়টি স্বীকার করে।

আরও পড়ুন

×