ওয়ারিশ নিয়ে সালিশে গিয়ে লাশ হলেন বৃদ্ধ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩ | ১৮:০০
মানিক মিয়া উপজেলার আদমপুর গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে এবং প্রতিপক্ষ রাশিদ ও হামিদের ভগ্নিপতি।
জানা গেছে, শ্বশুরবাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রীর ভাই রাশিদ ও হামিদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল মানিকের। গত রমজান মাসে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধরেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সে কারণে থানায় সালিশ করার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার বিকেলে মানিক ছেলেসহ অন্যদের নিয়ে থানায় আসেন। কিন্তু তাঁদের পক্ষের মান্য ব্যক্তি উপস্থিত না হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।
পরে তারিখ নির্ধারণ করে সালিশ হবে জানিয়ে উভয় পক্ষকে বাড়ি চলে যেতে বলেন ইউপি সদস্য। এ নিয়ে তাঁরা থানা চত্বরেই বিবাদে জড়ান। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মানিক মিয়া অন্যদের সঙ্গে থানা থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন চড়াও হয়। এ সময় কিল-ঘুষি ও লাথিতে তিনি লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মানিক মিয়ার ছেলে রোদন মিয়া বলেন, মামারা কিছুদিন আগেও ওয়ারিশের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এবার সালিশের কথা বলে ডেকে এনে বাবাকে মেরে ফেলেছে। তিনি এর শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত রাশিদ ও হামিদ ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁদের চাচাতো ভাই বাবুল বলেন, হামিদ ও রাশিদ বাড়িতে নেই। তাঁরা কোথায় আছেন, তাও জানেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ভূঞা সবুজ বলেন, ফের তারিখ নির্ধারণ করে সালিশ হবে জানিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার জন্য বলা হলেও প্রতিপক্ষ চড়াও হয়ে ওঠে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- ওয়ারিশ
- সালিশ
- বৃদ্ধ
- বৃদ্ধের মৃত্যু