অবহেলায় নষ্ট মূল্যবান কাঠ, মিশছে মাটিতে

কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩ | ১৮:০০
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রজাতির অনেক কাটা গাছ মাটিতে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন সেখানে থাকায় রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু অংশ পচে গুঁড়া হয়ে মাটিতে মিশে গেছে। কয়েকটি গুঁড়ি ইতোমধ্যে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন খান জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি সে সময় রাজাপুরে দায়িত্বে ছিলেন। তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ মুসা জানান, নিলামের জন্য একটি কমিটি আছে। এতে সিভিল সার্জন, ইউএনও, বন কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার থাকার কথা। সিভিল সার্জনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেনি। সে সময় তাগাদা দেওয়া ছিল।
২০১৯ সালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তিন তলা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে কাঁঠালিয়া সদর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমিতে থাকা তাল, রেইনট্রি, চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ কাঠ বিক্রির উদ্যোগ নেয়নি। অবহেলা ও সমন্বয়হীনতায় কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফারুক হোসেন জানান, সময়মতো নিলাম হলে সরকার রাজস্ব পেত।
উপজেলায় নতুন যোগদান করায় এ বিষয়ে কিছু জানেন না পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস কুমার তালুকদার বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে চিকিৎসাসেবা ছাড়াও অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়।
ইউএনও মো. মিজানুর রহমান জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গাছ কী করবে, না করবে– তা সিভিল সার্জনের ব্যাপার। সিভিল সার্জন এ ইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
- বিষয় :
- অবহেলা
- মূল্যবান কাঠ