ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

খালেকের বিপরীতে পাঁচ ‘দুর্বল’ প্রার্থী

খালেকের বিপরীতে পাঁচ ‘দুর্বল’ প্রার্থী

তালুকদার আবদুল খালেকে

মামুন রেজা, খুলনা

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ | ০৩:৫৩

দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন না মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফফার বিশ্বাস। ফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন পাঁচ প্রার্থী। স্থানীয়রা বলছেন, খালেকের সামনে তাঁরা সবাই ‘দুর্বল’ প্রার্থী। এ কারণে মেয়র পদে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু সমকালকে জানান, দলের নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এ ছাড়া তাঁকে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস সোমবার প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ তাঁকে সিটি নির্বাচনে অংশ না নিতে অনুরোধ করেছেন। এরই মধ্যে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়াল, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে জমা দেবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক, স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান ও আবদুল্লাহ চৌধুরী।

২০১৩ সালে মেয়র পদে নির্বাচন করে মাত্র ৩ হাজার ৭৬ ভোট পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নগরীতে সৈয়দ কামরুল ইসলামের কোনো পরিচিতি নেই। এই প্রথমবার কোনো নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ চৌধুরী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আহ্বায়ক ও বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। জীবনে প্রথমবার নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন এই তরুণ। আর তালুকদার খালেক চারবার সংসদ সদস্য, একবার ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও কেসিসিতে দু’বার মেয়র ছিলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন টানা ১৯ বছর।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সভাপতি কুদরত ই খুদা বলেন, বিএনপি প্রার্থী না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের তালুকদার খালেকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও কে বিজয়ী হবে, তা ভোটাররা আগেই ধারণা করতে পারছেন।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার  বলেন, বিএনপির প্রার্থী না থাকায় গত নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলনই হবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ভোটের ব্যবধান অনেক হবে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান মনে করেন, এবারের ভোটের মাঠে খালেকই শক্তিশালী প্রার্থী।

তবে বিদায়ী মেয়র তালুকদার খালেক বলেছেন, ভোটের মাঠে অন্যরা সবাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি কাউকেই দুর্বল মনে করছি না।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আউয়াল বলেন, বিএনপির ভোট তাঁর পক্ষে আসবে। আওয়ামী লীগেরও একটা ধর্মপ্রাণ অংশ তাঁকে সমর্থন করবে।

খালেকের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি হচ্ছে

খালেকের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করবে আওয়ামী লীগ। কাউন্সিলর পদে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলে তাঁকে দলীয় পদ থেকে দেড় মাসের জন্য অব্যাহতি নিতে হবে। তাঁদের অবর্তমানে সহসভাপতি অথবা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওই দায়িত্ব পালন করবেন।

সোমবার খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

আরও পড়ুন

×