ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা

খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩ | ১৫:৫৯ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ | ১৫:৫৯

উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তবে নির্বাচন অফিসের কঠোরতার কারণে এবার ছিল না আচরণবিধি লংঘনের ছড়াছড়ি কিংবা শোডাউন। মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ জন। তবে এর মধ্যে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী। ইতোপূর্বে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু ও স্বতন্ত্র সৈয়দ কামরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তালুকদার আব্দুল খালেক মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। এ সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী না থাকা সম্পর্কে তিনি বলেন, সব দলের প্রার্থী দিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা উচিৎ ছিল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন তাদের কাউকেই তিনি দুর্বল ভাবছেন না। নির্বাচন উৎসবমুখর হবে বলে দাবি করেন তিনি। ভোটারদের উপস্থিতি যাতে বাড়ে সেজন্য তারা কাজ করবেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান বলেন, গত নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল না। ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ইভিএম নিয়ে এখনও ভোটারদের মনে সংশয় রয়েছে। ভোটাররাও সংশয়ে রয়েছে তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা। এই সংশয়গুলো নির্বাচন কমিশনকেই দূর করতে হবে। তাহলে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।

জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। ইভিএম নিয়ে তার কোনো আপত্তি নেই।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান করে দেখা যায়, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে তাদের সঙ্গে ৪/৫ জন করে লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল নগরীর নূরনগর এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।

এ দিন নির্বাচন অফিসে প্রবেশের দুটি সড়কের মুখে ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ। এ ছাড়া নির্বাচন অফিস চত্বর ও ভেতরে নিচতলায়ও মোতায়েন করা হয় পুলিশ। এ ছাড়া দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রবেশ পথে প্রার্থীদের সঙ্গে ৪/৫ জনের বেশি কর্মী-সমর্থক থাকলে তাদেরকে আটকে দেয় পুলিশ।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, আগামী ১৮ মে তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ২৬ মে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার। ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোট কক্ষ থাকবে ১ হাজার ৭৩২টি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ১৩৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। 

আরও পড়ুন

×