সিলেট সিটি নির্বাচন
আনোয়ারুজ্জামানের আয় ৩ লাখ, বাবুলের দেনা ৫ কোটি

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ | ০৪:৫১
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন। হলফনামায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বার্ষিক আয় মাত্র ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪ টাকা উল্লেখ করে ব্যাংকের কাছে কোনো দেনা নেই জানিয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ব্যাংকে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৭ টাকা ঋণের তথ্য দিয়ে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৯ টাকা। বাবুল স্বশিক্ষত, আনোয়ারুজ্জামান বিএ পাস।
হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পেশায় ব্যবসায়ী আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৮ টাকা, একটি রেফ্রিজারেটর, দুটি টিভি, দুটি এসি, ২ সেট সোফা, চারটি খাট, একটি টেবিল, ১০টি চেয়ার ও দুটি আলমারি আছে। স্ত্রীর রয়েছে ৪৭ ভরি স্বর্ণালংকার। আনোয়ারুজ্জামানের স্থাবর সম্পদের মধ্যে তিন বিঘা কৃষিজমি, ২৩ শতক অকৃষি জমি, একটি দালান ও একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট রয়েছে।
পেশায় ব্যবসায়ী জাতীয় পার্টির বাবুলের কাছে ২ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। পাশাপাশি অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তাঁর একটি একটি টয়োটা প্রাডো, একটি বিএমডব্লিউ, আটটি কাভার্ডভ্যান, চারটি কার্গো ও একটি মোটরসাইকেল আছে। তাঁর স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ১২ হাজার টাকা রয়েছে। বাবুলের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ১৩৫ দশমিক ৭৮ শতক অকৃষি জমি, একটি ফ্ল্যাট এবং চারটি দালান ও টিনশেড বাড়ি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা তদন্তাধীন। অতীতে তিনটি মামলা হলেও অব্যাহতি পেয়েছেন।
এ দু’জন ছাড়াও মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল হানিফ কুটু, ছাত্রদলের সাবেক কর্মী ছালাহ উদ্দিন রিমন, আবদুল মান্নান খান, সামছুননূর তালুকদার, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, শাহজাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা হলফনামা জমা দিয়েছেন।
পেশায় ব্যবসায়ী ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসানের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যাংকে দায়-দেনা নেই। তাঁর ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সিলেট জেলা সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন নির্বাচন কমিশনকে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। প্রার্থী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা ভোটারদের অধিকার।’
নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, ‘হলফনামা যাচাই-বাছাই করে কোনো অসংগতি পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’