অভিনব পদ্ধতিতে চুরি হচ্ছিল বিদ্যুৎ, ১৭ মিটার জব্দ

জব্দকৃত মিটার
যশোর অফিস
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৩ | ১৬:২৬ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ | ১৮:৩৬
বাড়ির টিভি, ফ্রিজ, লাইট ফ্যান সবই চলছে। কিন্তু উঠছে না কোনো বিদ্যুৎ বিল। কারণ বৈদ্যুতিক মিটারের তার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে সংযোগ বাইপাস করা হয়েছে। এমন অভিনব চুরি ধরা পড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের অভিযানে।
মঙ্গল ও বুধবার যশোরের দুই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ বাড়ি থেকে এমন ১৭টি মিটার জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ‘সার্ভিস বাইপাস’-এর এমন বিদ্যুৎ চুরি রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি ওয়েস্টপাওয়ার জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (ওজোপাডিকো) অভিযোগ আসে কিছু এলাকায় মিটার টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছে। অভিযোগের সূত্র ধরে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভাগ যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়া এবং বুধবার বেজপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব এলাকার বিভিন্ন বাড়ির মিটার পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার বাড়ির মিটারে সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু মিটারের প্রান্তে তারের আবরণ খুলে অন্য তার সংযুক্ত করে বাড়ির মধ্যে নেওয়া হয়েছে। এই তারের বিদ্যুতেই চলছে বাড়ির লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজসহ সবকিছু।
বিদ্যুৎ বিভাগের ভাষায় এটিকে ‘সার্ভিস বাইপাস’ বলা হয়ে থাকে। আর সার্ভিস বাইপাসে বাড়ির সবকিছু চললেও মিটারে বিদ্যুৎ বিল ওঠে না।
ভ্রম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমন ১৭টি মিটার পাওয়া গেছে, যেগুলোর মিটারের তার টেম্পারিং করা হয়েছে। একটি মিটার থেকে চারটি অবৈধ সংযোগের চিত্রও পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান টের পেয়ে বাাড়ির পুরুষ সদস্যদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অভিযানকালে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ওই তিন বাড়ির ১৭টি মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জব্দ করে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ মালিককে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার মৌসুমীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ওজোপাডিকোর সহকারী প্রকৌশলী শামসুজ্জোহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকরা ‘সার্ভিস বাইপাস’ করে বিদ্যুৎ চুরি করে আসছিল। ভবিষ্যতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।