রাজশাহী সিটি নির্বাচন
বিএনপি না থাকায় ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, বলছে সুজন

ছবি: সমকাল
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩ | ১৬:২১ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ | ১৬:২১
বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় সিটি করপোরেশন ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। শনিবার নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এই নির্বাচন কতটা অংশগ্রহণমূলক হলো, প্রতিযোগিতামূলক হলো– সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। একই বিবেচনায় এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং ভবিষ্যতেও উঠবে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার অনুকূল পরিবেশ নেই।’
এ সময় রাসিক নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ করা বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বলা হয় এবার ব্যবসায়ী প্রার্থী বেশি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী ছিলেন ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, এবার ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়, সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন স্নাতক সম্পন্ন, জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন। ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডের ১১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ২২ জনের এসএসসি, ২২ জনের এইচএসসি, ২৩ জনের স্নাতক এবং ১০ জনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। ১০টি সংরক্ষিত আসনে ৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ৭ জনের এসএসসি, ৭ জনের এইচএসসি, ৪ জনের স্নাতক এবং ৮ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।
পেশার তথ্যের ক্ষেত্রে বলা হয়, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে দু’জন আইনজীবী এবং একজন ব্যবসায়ী। একজনের পেশা টিউশনি ও ধর্মীয় আলোচনা (তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন)। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ৮৩ জনের পেশা ব্যবসা। ১২ জন কৃষিজীবী, ৮ জন চাকরিজীবী এবং দু’জন আইনজীবী। সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩২ জন গৃহিণী, ১১ জনের পেশা ব্যবসা এবং একজন আছেন চাকরিজীবী। এ ছাড়া জানানো হয়, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা ছিল। রাষ্ট্র তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের ৪২ জন, সংরক্ষিত দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থীর নামে মামলা রয়েছে। এ সময় প্রার্থীদের আয়সহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সুজনের রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি সফি উদ্দিন আহমদ ও মহানগর শাখার সভাপতি পিয়ার বখশ উপস্থিত ছিলেন।