চিকিৎসকের অবহেলায় গর্ভের যমজ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩ | ১৮:০০
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির গর্ভে যমজ দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হিউম্যান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলার তিস্তাপাড়া এলাকার মো. বাবলার স্ত্রী তাসমিন আকতারকে গত ১৪ জুন ওই ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক হাসনাত তানজিলা তাঁর আলট্রাসনোগ্রাম করেন। তিনি রিপোর্ট দেন তাসমিনের গর্ভে সন্তানের অবস্থান ভালো। হাসনাত তানজিলা একটি ইনজেকশন প্রসূতির শরীরে পুশ করেন। তারপর থেকেই তাঁর জরায়ু থেকে পানি ও রক্ত ঝরতে থাকে।
এ সময় ডা. তানজিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওষুধ লিখে দেওয়া হয়েছে এবং খাওয়ানোর পর ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরদিন আবারও ডা. তানজিলাকে ফোন করা হলে প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে তিনি উগ্র আচরণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
১৬ জুন তাসনিমকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তাঁর পেটে যমজ শিশু এবং পানিস্বল্পতায় তারা মারা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাসনিমকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় বের করা হয়। তাসনিম সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাবলা জানান, হিউম্যান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দায়িত্বহীনতা এবং ডা. তানজিলার ভুল চিকিৎসার কারণে গর্ভে শিশু দুটি মারা গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই ক্লিনিকের মালিক আব্দুল কাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রোগী আমার এখানে এসে চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাম করেন। পরে তাঁরা বাসায় ফিরে যান।’
সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- চিকিৎসক
- অবহেলা
- শিশু মৃত্যু