ভাগনিকে হত্যার পর পানির ট্যাঙ্কে রেখে দিল মামা

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযুক্তের মোটরসাইকেল - সমকাল
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩ | ১৮:০০
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পানির ট্যাঙ্ক থেকে তুলি আক্তার (আড়াই বছর) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তার মামা সুমন মিয়াকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার উপজেলার লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ চাকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তুলি ওই গ্রামের সোহেল মিয়া ও ভোলেনা দম্পতির মেয়ে। সুমন একই গ্রামের আল মামুন সরকার ও মরিয়ম বেগম দম্পতির পালিত ছেলে।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তুলি প্রায়ই নানির কাছে থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও তুলিকে বাড়িতে নিয়ে যান মরিয়ম বেগম।
সোহেলের মামাতো ভাই মনির হোসেন জানান, ভোরে সোহেলের মোবাইল ফোনে কল করে ঘুম থেকে উঠেছেন কিনা জানতে চেয়ে কল কেটে দেয় সুমন। এরপর তাঁর ফোনে একটি মেসেজ পাঠিয়ে সুমন জানায়, তুলি তার কাছে আছে। ৫০ হাজার টাকা দিলে তাকে ফেরত দেবে, তা না হলে ঢাকায় নিয়ে চলে যাবে।
এরপর সুমনের ফোন বন্ধ পেয়ে দ্রুত ঘাটাইল থানায় যান সোহেল। পুলিশ ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস তল্লাশি করে সুমনকে আটক করে। ছোট ভাই জয় ও তাঁর দেওয়া তথ্যে বাড়ির পানির ট্যাঙ্ক থেকে তুলির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সুমনের বাড়ি ভাঙচুর করেন এবং তার বাবার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন।
ঘাটাইল থানার ওসি লোকমান হোসেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরফুদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সুমন। এ ঘটনায় আর কারও সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
- বিষয় :
- ঘাটাইল
- ভাগনিকে হত্যা