ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

যশোরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্ত

যশোরে উদ্বেগজনক হারে  বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্ত

যশোর অফিস

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ | ০২:১৮

যশোরে উদ্বেগজনক হারে মরণব্যাধি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে জেলায় এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগী ১৪৬ জন। চলতি বছরই জেলায় ৫৬৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় অন্তত ৫ জন পজেটিভ শনাক্ত হন। তাঁদের মধ্যে ২ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। মারা যাওয়া দু’জনই ছিল শিশু। গতকাল রোববার যশোর রেড ক্রিসেন্ট মিলনায়তনে এক সেমিনারে এসব তথ্য দেন জেলা এফপিএবি কর্মকর্তা ও জেলা এইচআইভি প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পারসন আবিদুর রহমান। ছিন্নমূল মানবকল্যাণ সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি সংস্থা সেমিনারের আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, যশোরে যেভাবে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। আক্রান্তদের একটি বড় অংশ জানে না তারা কীভাবে সংক্রমিত হয়েছে। তাই সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে সচেতনতা দরকার। যশোরে এখনও এইচআইভি রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোনো সেন্টার নেই। এ জন্য রোগীদের খুলনায় পাঠাতে হয়। তবে আগামী আগস্ট মাসে যশোরে এইডস রোগীদের চিকিৎসায় এআরটি সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এটি স্থাপিত হলে এইডস রোগীদের চিকিৎসার জন্য খুলনায় ছুটতে হবে না।

সিভিল সার্জন আরও জানান, চলতি বছর যশোর এমএম কলেজের তিন শিক্ষার্থীর শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তারা তিনজন একই সঙ্গে থাকতেন। এইচআইভি প্রতিরোধে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মধ্যেও সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে এইচআইভি প্রতিরোধ সম্ভব।

সেমিনারে জানানো হয়, যশোরে ২০০৬ সাল থেকে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। সেই থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৪৬ জন নারী-পুরুষের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৮ সালে দু’জন, ২০১০ সালে ৭ জন, ২০১১ সালে ৬ জন, ২০১২ সালে ৯ জন, ২০১৩ সালে ৮ জন, ২০১৪ সালে ২৩ জন, ২০১৫ সালে ৩৩ জন, ২০১৬ সালে ১৩ জন, ২০১৭ সালে ৮ জন, ২০১৮ সালে ৬ জন, ২০১৯ সালে ১০ জন, ২০২০ সালে ১০ জন, ২০২১ সালে একজন এবং ২০২২ সালে ১০ জন এইচআইভি পজেটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এইডস রোগী সংখ্যা ২০ জন। ২০০৬ থেকে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও শিশু।

জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিকের সভাপতিত্ব সভায় আরও বক্তব্য দেন মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ, পৌরসভার কাউন্সিলর নাছিমা আক্তার জলি প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×