বেনাপোল পৌরসভা: ২ মেয়রসহ ৬৪ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

ছবি: সমকাল
যশোর অফিস
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩ | ০৯:৪৪ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ | ০৯:৪৪
যশোরের বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুই মেয়র ও ৬২ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা সিনিয়র নির্বাচন কার্যালয়ের মিলনায়তনে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিছুর রহমান প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের ঘোষণা দেন। প্রতীক বরাদ্দের শুরুতে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় মেয়র প্রার্থী এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক ঘোষণা দেওয়ার পর মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে নির্বাচন এলাকায় মেয়র প্রার্থী এবং সমর্থকরা প্রচারণা শুরু করেন।
টানা ২২ দিন প্রচার প্রচারণা শেষে ১৩ বছর পর আগামী ১৭ জুলাই বেনাপোল পৌরসভায় ৩০ হাজার ৩৮৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন নতুন জনপ্রতিনিধি।
নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নৌকা প্রতীক, বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন মোবাইলফোন প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ আসনে ৪৭ জন প্রার্থী ও সংরক্ষিত আসনে ১৫ জন প্রার্থীদের মাঝেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২৫ জুন ছিলো মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন মেয়র পদে বেনাপোল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এবং যাচাই বাছাইয়ে এই নির্বাচনের আরেক প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসনে উজ্জলের মনোনয়ন ঋণ খেলাপির দায়ে বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। প্রার্থীদের আচারণবিধি মেনে প্রচারণার অনুরোধ করা হয়েছে।
২০০৬ সালে বেনাপোল ইউনিয়নের ১১টা গ্রামের অংশ নিয়ে বেনাপোল পৌরসভা গঠনের পর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সেই নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ওই পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও আর নির্বাচন হয়নি। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার নির্বাচন ঠেকাতে এলাকা নিয়ে মামলার কারণে নির্বাচন আটকে যায়। ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪২ এর সংশোধনক্রমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন ২০২২ এর ধারা ৯ অনুযায়ী পৌর পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
- বিষয় :
- যশোর
- বেনাপোল
- পৌরসভা নির্বাচন
- প্রতীক বরাদ্দ