ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৩৫

নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর খোকসা গোপগ্রামের ধান ক্ষেত থেকে তুষার (২০) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রোববার বিকালে উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আধা কিলোমিটার দূরে কৃষক জামানের ধান ক্ষেত থেকে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ সময় অপর এক উৎসুক কৃষক গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে যুবকের মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আমলাবাড়িয়া গ্রামের খন্দকার আব্দুল হান্নান এসে মৃতদেহটি তার নিখোঁজ ছেলে তুষার এর বলে নিশ্চিত করেন। নিহত যুবকের হাত ও পায়ের আঙ্গুলের নখ তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়। সোমবার সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

তুষারের বাবা খন্দকার আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তুষার বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয়। গভীর রাত পর্যন্ত সে বাড়ি ফিরে না আসায় তারা ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর থেকে তুষারকে আর পাওয়া যায়নি। চার দিন পর রোববার বিকালে তিনি নিখোঁজ ছেলের মৃতদেহের সন্ধান পান। তিনি মামলা করবেন বলে জানান। 

তিনি আরও জানান, তার সাথে গ্রামের কারো কোন বিরোধ নেই। সম্প্রতি, জনি ও অন্তু নামের দুই যুবকের সাথে মোবাইল ফোন ও মেমোরি কার্ড নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। তারা তুষারকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছিল।   

তুষারের মা মাকসুদা জানান, গ্রামের জনি ও অন্তু নামের দুই যুবক চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলে তুষারের উপর নির্যাতন করেছিল। সেই সময় থেকে ওই যুবকরা তুষারকে হুমকী ধামকী দিতো। এ নিয়ে তুষার সবসময় মানসিক চাপে থাকত। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগেই সে অটো নিয়ে বাড়ি ফিরত। বুধবারেও সে একই সময়ে বাড়ি ফিরেছিল। মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। 

ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটি হত্যা বলে মনে হচ্ছে। এখন হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। বিস্তারিত তদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

তুষার পেশায় অটো চালক ছিলেন। নাবিলা নামের তার এক বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।  

আরও পড়ুন

×