ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আসামির নামের সঙ্গে মিল, জেল খাটলেন তিন দিন

আসামির নামের সঙ্গে মিল, জেল খাটলেন তিন দিন

প্রতীকী ছবি

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩ | ১৬:২৫ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ | ১৬:২৫

যৌতুকের মামলার আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নিরপরাধ এক ব্যক্তিকে তিন দিন জেল খাটতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর নাম সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার। তার অভিযোগ, পুলিশের ভুলে বিনা অপরাধে তাকে তিন দিন জেলে কাটাতে হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকার একটি মসজিদে ইমামতি করেন সিরাজুল। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের চরবোয়ালিয়া গ্রামের মেনহাজ হাওলাদারের ছেলে। ঈদুল আজহা উদযাপন করতে সম্প্রতি বাড়িতে যান সিরাজুল। গত শুক্রবার তাকে আটক করে পুলিশ। প্রকৃত আসামি একই গ্রামের আরেক সিরাজুল ইসলামু বিষয়টি আদালতে নিশ্চিত করার পর রোববার বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ভুক্তভোগী সিরাজুল জানান, তার বাবা ও প্রকৃত আসামির বাবার নাম-বংশ একই। তাদের ঠিকানাও একই গ্রামে। শুক্রবার দুপুরে তাকে বাড়ি থেকে আটক করেন বাকেরগঞ্জ থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া। পরে জানতে পারেন, যৌতুক মামলার আসামি তিনি। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর স্বজনরা মামলার কাগজপত্র তুলে দেখেন, আসামি সিরাজুল ছাড়া অন্য আসামিদের চেনেন না তারা। পরে গ্রামের মুরব্বিদের সহযোগিতায় প্রকৃত আসামি সিরাজুলের সন্ধান পান। এই সিরাজুলের ছেলে হাসানের স্ত্রী ২০১৯ সালে মামলাটি করেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন হাসান ও তার মামা ফারুক। এসব কাগজপত্র আদালতে দাখিলের পর নিরপরাধ সিরাজুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গ্রাম পুলিশ আবদুর রাজ্জাক জানান, মামলার আসামি ফারুকের খোঁজ পাওয়ার পর রহস্য উদ্ঘাটন হয়। ফারুক জানিয়েছেন, মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। একমাত্র সিরাজুল জামিন নেননি। দুই সিরাজুলের বাড়ির দূরত্ব দুই কিলোমিটার।

এদিকে এসআই গোলাম কিবরিয়ার দাবি, তিনি প্রকৃত আসামি সিরাজুলকেই গ্রেপ্তার করেছিলেন। আদালত কীসের ভিত্তিতে তাকে মুক্তি দিয়েছেন, তা তার জানা নেই।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, পরোয়ানা অনুযায়ী সিরাজুল নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিলেন এসআই কিবরিয়া। তাকে আদালতে পাঠানোর পর জানা যায়, ওই গ্রামে আরেক সিরাজুল আছেন। গ্রেপ্তার হওয়া সিরাজুল জামিন পেয়ে থানায় এসে জানিয়েছেন, তিনি আসামি সিরাজুল নন। বোয়ালিয়া গ্রামে আরেক সিরাজুলের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×