ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

খুবির বিদ্যুৎ চাহিদার ৪০ ভাগই মিটবে সৌরবিদ্যুতে

খুবির বিদ্যুৎ চাহিদার ৪০ ভাগই মিটবে সৌরবিদ্যুতে

ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে ২১৬টি সোলার প্যানেল বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে - সমকাল

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩ | ১৩:৫৬ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩ | ১৩:৫৬

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুটি ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার প্যানেল থেকে ১১৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে, যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ৪০ ভাগ মেটানো সম্ভব হবে। এক মাসের মধ্যেই উৎপাদনে যাচ্ছে প্রকল্পটি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের অর্থ হ্রাস পাবে। লোডশেডিং ও জ্বালানি সংকটের এই সময়ে এমন পরিবেশবান্ধব অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুকরণীয় হতে পারে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস জানান, নিজস্ব সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সুপারস্টার রিনিউঅ্যাবল এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবনের ছাদে ২১৬টি সোলার প্যানেল বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান জানান, এই সৌর প্যানেলের আয়ুষ্কাল ২৫ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসিক ৭০০ থেকে ৮০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে। 

প্রকল্প পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৩০০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন। একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য বড় স্থাপনার ছাদেও সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, লোডশেডিংয়ের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সৌরবিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা নির্বিঘ্ন হবে।

/এসআর/

আরও পড়ুন

×