ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সমকালকে তালুকদার আবদুল খালেক

খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেব

খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেব

মামুন রেজা, খুলনা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

গুণগত মান বজায় রেখে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন করতে চান খুলনার পুনর্নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের এলাকা সম্প্রসারণের উদ্যোগ এবং পাবলিক হল কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে দেড় হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস করানোর চেষ্টা করবেন তিনি। চলমান কাজ শেষ হলে নগরবাসীর চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নতুন নতুন প্রকল্প নিতে চান তিনি। সমকালের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মেয়র।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার খালেক গত ১২ জুনের নির্বাচনে তৃতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন। গত ৩ জুলাই তিনি শপথ নিয়েছেন। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন দায়িত্বভার গ্রহণের। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য গত ১১ মে তিনি পদত্যাগ করেন। খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১০ অক্টোবর।

তালুকদার খালেক বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনে বর্তমানে কোনো মেয়র নেই। তাই কাজের সুবিধার্থে ১০ অক্টোবরের আগেই যে কোনো সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে এ রকম জানানো হয়েছে।

সিটি মেয়র জানান, বর্তমানে ৬০০-৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের কাজ চলমান। দায়িত্ব গ্রহণের পর গুরুত্ব দেওয়া হবে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে। নগরীর বৃষ্টির পানি ভৈরব ও রূপসা নদী দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। এ দুটি নদীর তলদেশ পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। এ দুটি নদী খনন করা প্রয়োজন। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে তিনি এ কাজে সম্মতি দিয়েছেন।

তিনি জানান, দৌলতপুর বাজার রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড় সম্প্রসারণ এবং ২৪টি পুকুর খননের প্রকল্প চলমান রয়েছে। সড়ক ও ড্রেন সংস্কারসহ এই কাজগুলো সম্পন্ন করতে ২০২৪ সালের পুরোটা সময় লাগতে পারে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করার পাশাপাশি ১৮টি মৌজার ৪০ দশমিক ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার চলমান উদ্যোগ কার্যকর করতে সচেষ্ট হবেন। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন করানোর চেষ্টা করবেন। এই প্রকল্পের মধ্যে ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ১৫ তলা বিশিষ্ট পাবলিক হল ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে। প্রকল্পটির ব্যাপারে ইতোমধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।

তালুকদার খালেক নির্বাচনের আগে ‘স্মার্ট খুলনা’ গড়ে তোলাসহ ৪০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। ইশতেহারে জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ময়ূর নদী ও ২২টি খাল খনন ও সংস্কার, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ড্রেন পরিষ্কারের ব্যবস্থা, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপদ স্বাস্থ্যকর খুলনা, সূর্যোদয়ের আগেই পরিছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেন।

এ ছাড়া তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, কেসিসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রভৃতি।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় খুলনাকে একটি উন্নত, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত আধুনিক স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

আরও পড়ুন

×