ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

গৃহবধূকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগ

গৃহবধূকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

কলারোয়া (সাতক্ষীরা ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩ | ০৬:১২ | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ | ০৯:১৩

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মুকুন্দ দাস ও মোবারক আলী নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

বিষয়টি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

বুধবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, তার স্বামী কাজ উপলক্ষ্যে প্রায়ই ভারতে দীর্ঘসময় অবস্থান করেন। স্বামীর কাছে যেতে গত ৪ জুন ভারতীয় ভিসা আবেদনের জন্য উপজেলার কাজিরহাট বাজারের বিক্রম এন্টারপ্রাইজে যান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন উপজেলার শিবানন্দকাটি গ্রামের আদম ব্যবসায়ী  মৃত হোসেন আলীর ছেলে মোবারক আলী। প্রতিষ্ঠানটিতে অবস্থানের সময় তাঁর ওয়াশ রুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের মালিক মুকুন্দ দাসের কাছে ওয়াশ রুমের অবস্থান  জানতে চান। মুকুন্দ দাস তাকে প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় তলায় ওয়াশ রুমের  অবস্থানের কথা জানান। তিনি ওয়াশ রুমে  গেলে পেছনে পেছনে মোবারক আলী ও মুকুন্দ দাস দ্বিতীয় তলায় চলে আসেন। ওয়াশ রুম থেকে বাইরে বের হওয়ার পর তার গলায় ছুরি ধরে মোবারক আলী একটি রুমে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। মুকুন্দ দাস  বাইরে  থেকে দরজা লাগিয়ে দেন। ধষর্ণের সময় মোবারক আলী মোবারক আলী ভিডিও ধারণ  করে রাখেন।

পরে ভিডিওটি  ছড়িয়ে দেওয়ার  ভয় দেখিয়ে মুকুন্দ ও মোবারক তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় ভয় পেয়ে তিনি ছাগল বিক্রি করে তাদের হাতে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন। কিন্তু ওই টাকা নেওয়ার পর অভিযুক্তরা ভিডিওটি ডিলিট না করে তাঁর কাছে আরো টাকা দাবী করতে থাকে। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় মুকুন্দ ও মোবারক তাঁর স্বামীকে ভিডিওটি দেখান। এতে তার স্বামী সন্তানসহ তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুকুন্দ দাস বলেন, ঘটনার দিন ওই নারী মোবারককে সঙ্গে নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানে আসেন। প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় তলায় ওয়াশ রুমেও যান। তবে নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি তিনি জানেন না। মোবারক ও ওই নারী স্বামী–স্ত্রী বলে তিনি শুনেছেন।

অপর অভিযুক্ত মোবারক আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া না দেওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 

আরও পড়ুন

×