নির্বাচনী সহিংসতা: মামলার আসামি ৪২১, পুরুষশূন্য গ্রাম

ডিমলা থানা- ফাইল ছবি
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৫৮ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৫৮
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় ৪২১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর পর থেকেই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রাম। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকায় নারী ও শিশু ছাড়া কেউ থাকছেন না। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই ইউপি নির্বাচনের দিন টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে দক্ষিণ খড়িবাড়ি পণ্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফল প্রকাশ করা হয়। ফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী ফেরদৌস মিয়ার সমর্থকরা বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে।
ঘটনার পরদিন বিজিবির নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম ডিমলা থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পর থেকে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পুরুষ সদস্যরা।
গ্রেপ্তার হওয়া তাসিন ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম ও রানা মিয়ার মা ফাতেমা বেগমের দাবি, নির্বাচনের দিন তারা দু’জনই পাশের গ্রামে নিজেদের দোকানে বসে রাত ৯টা পর্যন্ত বেচাকেনা করেছেন। ভোটকেন্দ্রে মারামারির সময় তারা ছিলেন না। পুলিশ তাদের নিরপরাধ ছেলেদের ধরে নিয়ে গেছে। তাদের মুক্তির দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে নিরপরাধ কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে না।