গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, স্বামী পলাতক

প্রতীকী ছবি
মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩ | ০৭:৪৮ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ | ০৭:৪৮
কক্সবাজারের
মহেশখালীতে এমাজুন্নাহার ওরফে ময়না পাখি নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে
স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে উপজেলার বড় মহেশখালীর শুকরিয়া পাড়া গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
ময়না (২৪)
ওই এলাকার লোকমান হাকিমের স্ত্রী। এই দম্পত্তির দুটি সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে,
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিশুদের কান্না শুনে প্রতিবেশীরা লোকমানের বাড়িতে এসে তার
স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারা গৃহবধূকে উদ্ধার করে
রাত ১১টার দিকে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের
অভিযোগ, স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা ময়নার ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তাকে হত্যা করে। বিষয়টি
ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ময়নার মরদেহ ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এদিকে ময়নার মৃত্যুর খবর
ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে গৃহবধূর
মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। এ সময় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান লোকমান।
হাসপাতালের
একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন
রয়েছে।
ময়নার বাবা
মো. আমির হোসেন জানান, সম্প্রতি তার অপর এক মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার
দুপুরে মহেশখালী সদরে বিয়ের অনুষ্ঠানের জিনিসপত্র কিনতে যান তাঁরা। তাদের সঙ্গে ময়না
ও তার স্বামী লোকমানও যান। সন্ধ্যায় সবাই লোকমানদের বাড়িতে ফিরেন। এ সময় ময়না বাবার
বাড়িতে থেকে যেতে চাইলে লোকমান তাতে আপত্তি তুলেন। তাঁরা নিজ বাড়িতে ফেরার কিছু সময়
পর ময়না মোবাইল ফোনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাঁকে জানান তাঁর স্বামী তাকে বেশ মারধর করেছেন।
তাঁর মাথা দেয়ালে ঠুকে আঘাত করা হয়েছে বলে চিকিৎসার জন্য আকুতি জানান। এক পর্যায়ে তাঁর
কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁরা লোকমানদের বাড়ি যাওয়ার পথে মেয়ের মৃত্যুর
খবর পান।
বিষয়টি নিশ্চিত
করে মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, গৃহবধূর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত
প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।