ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ছাত্রদলের পদে থাকায় বেতন বন্ধের অভিযোগ

ছাত্রদলের পদে থাকায় বেতন বন্ধের অভিযোগ

নাসিরনগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রোববার প্ল্যাকার্ড হাতে মো. মামুন মিয়া-সমকাল

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ | ০৫:১১

রোববার দুপুর ১টা। প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এক যুবক। তাতে লেখা রয়েছে– ‘দুই মাসের বকেয়া বেতন, দুই মাস ধরে কর্মস্থলে যোগ দিতে বাধা প্রদান ও পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন।’

ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে। প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকের নাম মো. মামুন মিয়া। তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি। তার বাড়ি সদরের নাসিরপুর গ্রামে।

মো. মামুন মিয়া জানান, সরকারের পাইলট প্রকল্প ‘ন্যাশনাল সার্ভিস’ কর্মসূচিতে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর চাকরিতে মনোনীত হন তিনি। পরে যুব উন্নয়ন অফিস থেকে তাঁকে নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়। সেখানে যোগদানের পর থেকে চাকরি করে আসছিলেন। আড়াই মাস আগে নাসিরনগর কলেজ মোড়ে বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি হয়। সে সময় আহত উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

মামুন মিয়া অভিযোগ করেন, সেই ঘটনার সংবাদ ও তাঁর ছবি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দৃষ্টিতে এলে অফিসে কাজ করতে পারবেন না বলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। অফিসে গিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করেন তিনি। এ সময় ওই কর্মকর্তা তাঁকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তুমি গিয়ে ছাত্রদল কর, মিছিল-মিটিং কর। তোমার চাকরি করার দরকার নাই।’ এ ঘটনার পর থেকে বেতন-ভাতাও বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে আমার বেতন বন্ধসহ কাজ করতে না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাই। এ সময় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জানান, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিষেধ আছে’। তাই তোমাকে বেতন দেওয়া হবে না।” পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফকরুল ইসলামের কাছে যান তিনি। ইউএনও তাকে জানান, তার বেতন বন্ধ করতে কাউকে নির্দেশ দেননি তিনি। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নূরে আলম দাবি করেন, তিনি বেতন বন্ধ করেননি এবং কাজে যোগদান করতেও বাধা দেননি। ওই কর্মচারী (মামুন মিয়া) অফিসে আসেন না দীর্ঘদিন ধরে।

যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘সে নিয়মিত অফিস করেনি। বেতন-ভাতার প্রত্যয়ন দিতে না পারায় বেতন পায়নি। সে এখন মিথ্যা অজুহাত দিচ্ছে।’

আরও পড়ুন

×