কাইজ্জা-মারামারি বন্ধ করে সবাই মিলে সাহিত্যচর্চা করতে হবে: এমপি শাহদাব

ছবি: সমকাল
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩ | ০৫:১৬ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩ | ০৫:১৬
ফরিদপুরের সালথায় দুই দিন ব্যাপী সাহিত্য ও বই মেলার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, কৃষি গবেষক ও লেখক শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেছেন, ‘কাইজ্জা-মারামারি বন্ধ করে সবাই মিলে সাহিত্যচর্চা করতে হবে। আমি চাই আগামীতে সালথা ও নগরকান্দার মাটিতে কোনো প্রকার ঢাল, সরকি দিয়ে কাইজ্জা-মারামারি থাকবে না। এসব বন্ধ করে সবাই মিলে সাহিত্যচর্চা করতে হবে।’
শুক্রবার রাতে সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাহিত্য ও বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।
সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, ‘সমাজকে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দেশের সঠিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে। সেই লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে দেশের আবহমান সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিজভী জামান, সালথা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উজ্জামান ফকির মিয়া, সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক, ফরিদপুর রাসিনের নির্বাহী পরিচালক ও নারী নেত্রী আছমা আক্তার মুক্তা, ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ-ই-কবির খোকন, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। একই দিনে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবন্ধ পাঠ করেন খন্দকার ফারহানা মুন্নি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক, লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ খান।
এছাড়াও জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।