কুড়িগ্রামের সরকারি ৫ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়নি

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়সহ ৫ সরকারি প্রতিষ্ঠানে উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। ছবি: সমকাল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:২৩ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:৫১
কুড়িগ্রামের পাঁচটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ম মেনে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র উপপরিচালকের কার্যালয়, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এবং জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।
জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র উপপরিচালক কার্যালয়ের সামনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অন্য দিনগুলোতে প্রাণিসম্পদ অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখি। প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে কর্মকর্তারা হয়তো রংপুর গিয়েছেন। এ কারণে জাতীয় পতাকার কথা কারও মনে নেই।’
সরকারি কলেজ মোড়ের আরেক ব্যবসায়ী মো. সজীব বলেন, ‘প্রতিটি সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হবে– এটাই স্বাভাবিক। আজ কেন পতাকা উত্তোলন করা হলো না, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। সরকারি অফিসে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ মেনে নেওয়ার মতো না।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘সাধারণত বিশেষ দিবসে পতাকা তোলা হয়। প্রতিদিন তুলতে হবে– এমন বাধ্যবাধকতা নেই। অফিসের কাজে রংপুরে আছি। অভিযোগ যেহেতু এসেছে, রংপুর থেকে ফিরে খতিয়ে দেখা হবে।’
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান কে. এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘সরকারি দিবসগুলো ছাড়া অন্যান্য দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরিপত্র বা নিয়ম নেই।’
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. এ আর এম আল মামুন বলেন, ‘জাতীয় পতাকা টানানো হয়েছে কিনা খেয়াল করিনি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘অফিসের কাজে বগুড়ায় আছি। পতাকা না তোলার বিষয়টি জানা ছিল না। এক্ষুনি টাঙানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, পাঁচ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়নি– এটা আপনার কাছ থেকেই জানতে পারলাম। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- কুড়িগ্রাম
- সরকারি প্রতিষ্ঠান
- জাতীয় পতাকা